পাথুম নিশাঙ্কাকে দেখে শিষ্যদের শেখার তাগিদ দিয়েছিলেন ফিল সিমন্স। গুরুর কথা যেন এক কান দিয়ে শুনে অপর কান দিয়ে বের করে দিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত-মুশফিকুর রহিমরা। তা না হলে দ্বিতীয় ইনিংসেও এভাবে আসা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দিতেন না তারা। এতটাই বাজে ব্যাটিং করেছেন শান্ত-মুশফিকরা, তাতে ইনিংস ব্যবধানে হারের শঙ্কায় দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ।
তৃতীয় দিন শেষে ৬ উইকেটে ১১৫ রান করেছে তারা। দুই ইনিংস মিলিয়ে এখনো প্রতিপক্ষের চেয়ে ৯৬ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ।
মিরাকল কিছু না হলে বাংলাদেশের হার তাই নিশ্চিত। আগামীকাল শনিবার ব্যবধান কমানোর লক্ষ্যে চতুর্থ দিন শুরু করবেন লিটন দাস। তার সঙ্গী হতে পারেন নাঈম হাসান। কেননা শুক্রবার দিনের শেষ বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ে মাঠ ছেড়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। থারিদু রত্নায়েকের বলে আউট হওয়ার সময় ১১ রান করতে পেরেছেন বাংলাদেশি অলরাউন্ডার।
দিনটা অবশ্য অপরাজিত থেকেই শেষ করতে পারতেন মিরাজ। আম্পায়ার শুরুতে তাকে নট আউটই দিয়েছিলেন। তবে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভা চ্যালেঞ্জ জানালে বাঁচার আর উপায় পাননি মিরাজ। তার আগে একে একে ফিরেছেন অন্য ব্যাটাররাও।
দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের উইকেট পতনের শুরুটা হয়েছিল এনামুল হক বিজয়কে হারানো মধ্য দিয়ে। প্রথম ইনিংসে ডাক মারা বিজয় এবার করতে পেরেছেন ১৯ রান। দলীয় ৩১ রানেই বিদায় নেন আরেক ওপেনার সাদমান ইসলামও (১২)।
তৃতীয় উইকেটে শান্ত ও মমিনুল হক ৩২ রানের জুটি গড়লেও ৮ রানের ব্যবধানে দুজনই ফিরে যান। মমিনুলের ১৫ রানের বিপরীতে ১৯ রান করেছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক শান্ত। তাদের দেখানো পথেই পরে ব্যক্তিগত ২৬ রানে বিদায় নেন মুশফিকও। প্রতিপক্ষের হয়ে সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট নেন প্রবাত জয়াসুরিয়া ও ধনঞ্জয়া।
এর আগে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করতে নেমে ৪৫৮ রান করে শ্রীলঙ্কা। গত দিনের সেঞ্চুরিয়ান নিশাঙ্কা ব্যক্তিগত ১৫৮ রানে আউট হন। আর গত দিন ‘নার্ভাস নাইটিতে’ আউট হওয়া দিনেশ চান্ডিমালের (৯৩) মতো আজ সেঞ্চুরির খুব কাছে গিয়ে পাননি কুশল মেন্ডিস। নবম ব্যাটার হিসেবে রান আউট হওয়ার আগে ৮৪ রান করেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়া তাইজুল ইসলাম ক্যারিয়ারে ১৪তম বারের মতো ৫ উইকেট নিয়েছেন।
ঠিকানা/এনআই