চলছে বর্ষাকাল। এই সময় সংক্রমণের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি থাকে। একটু অনিয়ম হলেই শরীরে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই বর্ষায় সবচেয়ে বেশি ভয় থাকে পেট খারাপের। রাস্তার ধারের খাবার খেলে, দূষিত পানি পেটে গেলে ভুগতে হতে পারে পেটের অসুখে। আবার এই মৌসুমে কিছু সবজিও পেট খারাপের কারণ হতে পারে। কয়েকটা সবজি রয়েছে, যা বর্ষায় পেটের গণ্ডগোল বাড়িয়ে তোলে।
ভারতীয় পুষ্টিবিদদের মতে, বর্ষায় কিছু অত্যন্ত সাধারণ সবজি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর প্রমাণিত হতে পারে। অনেক সময় মানুষ এগুলোকে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকার অংশ ভেবে খেতে থাকেন, কিন্তু বর্ষাকালে এগুলো খাওয়া শরীরের জন্য বিষের মতো হতে পারে। বর্ষায় বাজারে এমন কিছু সবজি পাওয়া যায়, যা এড়িয়ে চলা উচিত। সেগুলো কী-কী, দেখে নিন।
বিভিন্ন ধরনের শাক
বর্ষায় শাকপাতা খেলে পেটের গোলমালের আশঙ্কা থাকে। এই মৌসুমে পালংশাক, মেথি শাক, সরিষা শাক, পুঁই শাকের মতো শাকপাতা এড়িয়ে চলুন। এই সময়ে শাকের পাতায় ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। তাই ভালো করে পরিষ্কার না করে শাকপাতা রান্না করলে পেটের সংক্রমণ হতে পারে। যতই তাজা শাক হোক, ভালো করে না ধুয়ে একেবারেই খাওয়া চলবে না।
কপি জাতীয় সবজি
বর্ষাকাল হলেও বাজারে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রকলির মতো সবজি দেখা যাচ্ছে। এই ধরনের সবজির মধ্যে পোকা, জীবাণু বাসা বাঁধতে পারে। অনেক সময় সেগুলো খালি চোখে দেখা যায় না। আবার অনেক সময় ভালোভাবে পরিষ্কার হয় না। তাই এই ধরনের সবজি বর্ষায় না খাওয়াই ভালো।
বেগুন
বেগুনও বর্ষার সবজি নয়। বর্ষায় বেগুনের মধ্যে ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধতে পারে। তাই এই মৌসুমে বেগুন খেলে ফাঙ্গাল ইনফেকশনের ঝুঁকি বেড়ে যায়। আবার অনেক সময় বেগুন খাওয়ার ফলে অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
ক্যাপসিকাম
ক্যাপসিকামের মধ্যে পানি শোষণের ক্ষমতা বেশি। তাই বর্ষায় ক্যাপসিকাম ব্যাকটেরিয়ার সূতিকাগার হয়ে ওঠে। ভালো করে পরিষ্কার করা সত্ত্বেও বর্ষায় ক্যাপসিকাম খেলে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
মাশরুম
বর্ষায় সম্পূর্ণরূপে মাশরুম এড়িয়ে চলুন। এটি জীবাণুর সূতিকাগার। তা ছাড়া বর্ষায় তাজা মাশরুম পাওয়া যায় না। এই মৌসুমে মাশরুম খেলে ফুড পয়জনিং হতে পারে।
ঠিকানা/এসআর