Thikana News
২৩ জুলাই ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন শিশুদের জীবন হোক রঙিন

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন শিশুদের জীবন হোক রঙিন
১৭ মার্চ ছিল জাতীয় শিশু দিবস। জাতীয় শিশু দিবসে এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুদের চোখ সমৃদ্ধির স্বপ্নে রঙিন’।

যে মানুষটির জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না, লাল-সবুজের একটি স্বাধীন পতাকা পেতাম না, তিনি হলেন আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম শেখ লুৎফর রহমান এবং মা সাহারা খাতুন। বাবা-মা তাঁকে খোকা বলেই ডাকতেন। স্বাধীনতার মহান স্থপতি, বাংলার এই মহানায়কের জন্মদিনটাকেই ১৯৯৬ সাল থেকে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হয়। শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর ছিল অপরিসীম দরদ। শিশুদের তিনি অনেক স্নেহ করতেন। জন্মদিনে তিনি শিশুদের সঙ্গেই সারাটা দিন কাটাতেন। তিনি মনে করতেন, শিশুরাই আমাদের ভবিষ্যৎ সক্ষম নাগরিক। শিশুরা যেন সুন্দর আগামী সোনার বাংলাদেশ গড়তে পারে, সে জন্য তিনি নিরলস কাজ করেছেন। শিশুদের মেধা বিকাশে এবং সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চার জন্য ‘কচিকাচার মেলা’ সংগঠনটির উৎকর্ষ সাধনে সচেষ্ট ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ১৯৫৬ সালের ৫ অক্টোবর ‘কচিকাচার মেলা’ প্রতিষ্ঠিত হয়। আমাদের এই মহান নেতার প্রতি সম্মান রেখেই জাতীয় শিশু দিবস ১৭ মার্চ পালন করা হয়। শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের সকল দেশ যেখানে বাংলা ভাষাভাষী মানুষ আছে, সবখানেই জাতীয় শিশু দিবস পালিত হয়।

শিশু দিবস কি শুধু আনুষ্ঠানিকতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে? এই প্রশ্ন আজ সবার। এখন শিশুরা তাদের অধিকার নিশ্চিতভাবে প্রাপ্ত হয়নি। অশিক্ষা, পুষ্টি, শিশুশ্রম আমাদের দেশের প্রধান সমস্যা। বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোতেও এই সমস্যা বিদ্যমান। তবে আমাদের বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আলোচনা করতে গেলে প্রথমেই দেখা যায় অপুষ্টি। প্রয়োজনীয় খাদ্য তারা পাচ্ছে না। দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস যারা করেন, তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা প্রকট।

বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৩ অনুসারে, দেশে বর্তমানে গড় দারিদ্র্যের হার ১৮.৭%। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) পরিচালিত জরিপে দেখা গেছে, গত ১০ বছরে দেশে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা ৭৭ হাজার বেড়েছে।

দ্বিতীয়ত অশিক্ষা। শিক্ষার অভাবে আমরা শিশুদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দিচ্ছি। যে সময়ে শিশুদের স্কুলে যাওয়ার কথা, সে সময়ে অনেক শিশু ক্ষেত-খামারে, কলকারখানায় ও পরিবহন সেক্টরে কাজ করছে।
শিশুরা জড়িয়ে পড়ছে অপরাধে। সাম্প্রতিককালে ‘কিশোর গ্যাং’ তার একটি বড় উদাহরণ।
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে আমাদের শিশুদের স্মার্টভাবে মানুষ করতে হবে। শিশুশ্রম বন্ধ করে স্কুলে যাওয়ার পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।

বর্তমানে শ্রমে জড়িত রয়েছে ১৭ লাখ ৭৬ হাজার শিশু (যাদের বয়স ৫ থেকে ১৪ বছর)। এর মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমে আছে ১০ লাখ ৬৮ হাজার। আর ঝুঁকিহীন শ্রমে রয়েছে ৭ লাখ ৭ হাজার শিশু।
ভর্তুকি দিয়ে হলেও সরকারকে স্কুলে শিশুদের টিফিন নিশ্চিত করতে হবে। শিশুদের মানসিক বিকাশে প্রয়োজনীয় খেলার মাঠ ও পার্কের ব্যবস্থা করতে হবে। স্থানীয় প্রশাসনকে সমস্যা চিহ্নিত করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সরকারকে জানাতে হবে।

আমরা মনে করি, সবার সম্মিলিত আন্তরিক প্রচেষ্টাই নিশ্চিত করতে পারে শিশু অধিকার। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় স্মার্ট শিশুরাই পারে আগামী সুন্দর পৃথিবী গড়তে। আমরা সেই সুসময়ের প্রতীক্ষায় রইলাম।
-নিউইয়র্ক

কমেন্ট বক্স