বেগম খালেদা জিয়া। একজন গৃহবধূ থেকে তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলের নেত্রী, আন্দোলন ও সংগ্রামের প্রশ্নে জীবনের শেষ লগ্নেও আপসহীন। ব্রিটিশ ভারতের জলপাইগুড়িতে সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে ১৯৪৫ সালে খালেদা জিয়ার জন্ম। ১৯৬৬ সালে সামরিক অফিসার জিয়াউর রহমানের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধে মেজর জিয়া রণাঙ্গনে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়লেও তিনি দুই শিশুপুত্রকে (তারেক ও কোকো) নিয়ে দেশে বন্দী ছিলেন। ১৯৭৫ সালের পটপরিবর্তনের পর সামরিক বাহিনীর মধ্যে চরম বিশৃঙ্খলা ছিল। ক্যু-পাল্টা ক্যুর মধ্য দিয়ে সামরিক বাহিনীর মধ্যে গ্রহণযোগ্যতাকে পুঁজি করে জিয়া ক্ষমতা গ্রহণ করেন। ১৯৭৬ সালে জাগোদল, পরে ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) গঠন করেন। ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে কিছুসংখ্যক বিপথগামী সামরিক বাহিনী অফিসার কর্তৃক নিহত হন। তার স্থলাভিষিক্ত হন ভাইস প্রেসিডেন্ট আব্দুস সাত্তার। প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর দেশে চরম অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। তার মন্ত্রিসভার যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী আবুল কাসেমের বাসা থেকে কুখ্যাত খুনি ‘ইমদু’ ধরা পড়েন। সেই সুযোগে সামরিক বাহিনীর প্রধান লে. জে. হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করে ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ সাত্তার সরকারকে (বিএনপি) ক্ষমতাচ্যুত করে প্রেসিডেন্ট হন। তিনি ক্ষমতা গ্রহণের পর মিছিল-মিটিং বন্ধ, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ করেন। ১৯৮৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ডের কাছে ছাত্রদের মিছিলে পুলিশের ট্রাক তুলে দিয়ে জাফর, জয়নাল, কাঞ্চন, দীপালী সাহাকে হত্যা করা হয়। শতাধিক মানুষকে আহত করা হয়। শুরু হয় স্বৈরশাসক এরশাদের বিরুদ্ধে এ দেশে গণতন্ত্রের সংগ্রাম। এদিকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর ’৮১ সালের জানুয়ারি মাসে ভঙ্গুর, বিপর্যস্ত আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করার জন্য সভাপতি করে শেখ হাসিনাকে দেশে নিয়ে আসা হয়। জিয়াউর রহমান মারা যাওয়ার পর বিএনপির অবস্থাও শোচনীয়। নেতৃত্বের শূন্যতা, কোন্দলে বিএনপি ছিল দিশেহারা। সেই সংকটময় মুহূর্তে দলের নেতারা ঐক্য ও সংহতির প্রতীক হিসেবে খালেদা জিয়াকে দলের নেতৃত্ব গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ জানান। খালেদা জিয়ার পক্ষে এই সিদ্ধান্ত নেওয়াটা ছিল অত্যন্ত কঠিন। কারণ, নিজের ছোট দুটি সন্তান ও পারিবারিক অবস্থা। জিয়াউর রহমান মারা যাওয়ার পর জে. এরশাদের দেওয়া শহীদ মইনুল হোসেন রোডের বাড়িতে পরিবার নিয়ে থাকেন। জিয়াউর রহমানের রেখে যাওয়া ব্যাংক ব্যালেন্স বা সম্পত্তি বলতে কিছুই ছিল না। প্রয়োজনীয় বিদেশ সফর ছাড়া বাইরের কোনো কাজে স্ত্রী অথবা আত্মীয়স্বজনদের ধারেকাছেও আনতেন না। সবকিছু বিবেচনা করে এবং দল ও দেশের প্রয়োজনে ত্রাণকর্তা হিসেবে খালেদা জিয়া দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ৩৬ বছর বয়সে গৃহবধূ থেকে দুই সন্তান নিয়ে বিধবা খালেদা জিয়া কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন। একদিকে নিজের দলকে সংগঠিত করা, অন্যদিকে সামরিক স্বৈরাচারবিরোধী গণতন্ত্রের সংগ্রাম। ধীরে ধীরে দল ও রাজনৈতিক অঙ্গনে তার গ্রহণযোগ্যতা বাড়তে থাকে। স্বৈরাচারবিরোধী গণতন্ত্রের সংগ্রামে তার নেতৃত্বে গড়ে ওঠে সাতদলীয় ঐক্যজোট। আর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গড়ে ওঠে পনেরো দলীয় ঐক্যজোট। জাতীয় দাবি পাঁচ দফা ও ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ছিল দশ দফা কর্মসূচি। এরশাদের জেল-জুলুম, অত্যাচার-নির্যাতনকে উপেক্ষা করে আপসহীন ধারায় যুগপৎ সংগ্রাম চলছিল। আন্দোলনকামী শক্তির মধ্যে কথা ছিল পাঁচ দফা দাবি আদায় ব্যতীত এরশাদের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নিয়ে তাকে বৈধতা দেওয়া যাবে না।
১৯৮৬ সালে শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের লালদিঘি ময়দানে ঘোষণা দেন, এরশাদের অধীনে যে নির্বাচনে অংশ নেবে, সে জাতীয় বেইমান হিসেবে চিহ্নিত হবে। কারণ, এরশাদ সরকারের পক্ষ থেকে বিরোধী দলের মধ্যে ফাটল ধরিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা ছিল। এদিকে দুই নেত্রীর মধ্যে পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাসের প্রচণ্ড ঘাটতি ছিল। কিন্তু জাতিকে অবাক করে পনেরো দলীয় ঐক্যজোটের আট দলকে নিয়ে শেখ হাসিনা জাতীয় দাবি পাঁচ দফার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেন। তিনি জামায়াতকে নিয়ে ১৯৮৬ সালে এরশাদের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেন।
এত আত্মত্যাগের পর শেখ হাসিনার এই সিদ্ধান্তে সারা দেশের ছাত্র-জনতা রাজপথে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে ছাত্রলীগকে স্বৈরাচারের দালালির কারণে বের করে দেওয়া হয়। এরশাদের পাতানো জাতীয় সংসদ এক বছরও টিকতে পারিনি। পনেরো দল থেকে বেরিয়ে আসা জাসদ, বাসদসহ পাঁচদলীয় ঐক্যজোট ও সাতদলীয় ঐক্যজোটের আন্দোলনের মুখে সংসদ বাতিল হয়ে শেখ হাসিনা আবার সংগ্রামে রাজপথে শরিক হন। এই আন্দোলন ও সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর স্বৈরশাসক এরশাদের পতন হয়। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের এই কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে খালেদা জিয়া আপসহীন সংগ্রামী নেত্রীর খেতাবে ভূষিত হন। তার দেশব্যাপী জনপ্রিয়তার কারণেই তিনি বারবার পাঁচটি আসনে বিজয়ী হন।
১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি এককভাবে ক্ষমতা গ্রহণ করে। আর খালেদা জিয়া হন দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ১৪৭টি আসন পেয়ে জাতীয় পার্টির সহায়তায় সরকার গঠন করে এবং খালেদা জিয়া ১১৬টি আসন নিয়ে সংসদে বিরোধী দলের আসনে বসেন। ২০০১ সালে তিনি পুনরায় প্রধানমন্ত্রী হন। এরপর ২০০৬ সালে ফখরুদ্দীন ও মইনুদ্দিন ক্ষমতা গ্রহণ করেন। দুই নেত্রীকে বিদেশ পাঠিয়ে বা অন্য যেকোনো পন্থায় রাজনীতি থেকে দূরে সরানোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। যাকে রাজনৈতিক অঙ্গনে মাইনাস টু ফর্মুলা নামে বহুল প্রচারিত ছিল। সেই কঠিন অবস্থায়ও খালেদা জিয়া দেশের বাইরে কোথাও যেতে রাজি হননি। তিনি বলেন, দেশের বাইরে আমার কোনো ঠিকানা নেই। আমি দেশেই থাকব। সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত সরকারের শত চাপের কাছেও তিনি মাথানত করেননি। কিন্তু শেখ হাসিনা চিকিৎসার কথা বলে কৌশলে আমেরিকায় ছেলের কাছে চলে আসেন। যখন দেখলেন খালেদা জিয়া বিদেশ যাননি, রাজনৈতিক মাঠ তার দখলে চলে যাচ্ছে, তখন তিনি আবার দেশে চলে আসেন।
রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে দুই নেত্রীকে বাদ দিতে না পারায় শুরু হয় দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের ভিন্ন প্রেক্ষাপট। সেই দৃশ্যপটের অংশ ছিল ২০০৮ সালের নির্বাচন এবং ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের ক্ষমতা গ্রহণ। এই ষড়যন্ত্রের ক্রীড়নক হিসেবে কাজ করেছেন তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল মইন, যা পরবর্তীকালে ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির বইয়েও আলোকপাত হয়েছে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের ক্ষমতা গ্রহণের মাধ্যমে দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। যেমন বিডিআর বিদ্রোহের নামে ৫৭ জন চৌকস সেনা অফিসারকে হত্যা। শেখ হাসিনার অধীনে বিরোধী দলের অংশগ্রহণ ব্যতীত বিনা ভোটের তিনটি নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ধ্বংস করা। দেশের প্রশাসন, বিচার বিভাগ, পুলিশসহ রাষ্ট্রীয় সকল কাঠামোকে দলীয়করণ করার মাধ্যমে ভেঙে ফেলা। দেশের অর্থনীতিকে অবাধে লোপাট করে দেশের টাকা বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়া। ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে দমাতে গিয়ে নির্বিচারে গুম, খুন, গণহত্যা করা।
সর্বশেষ ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে স্বৈরাচারের তকমা নিয়ে শেখ হাসিনাসহ এমপি, মন্ত্রী, নেতা সবাইকে দেশ থেকে পালিয়ে ভারতসহ অন্যান্য দেশে গিয়ে আশ্রয় নিতে হলো, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা। অপরদিকে খালেদা জিয়া, তার পরিবার ও দলের ওপর গত ১৬ বছরে চলল অমানুষিক অত্যাচার-নির্যাতন। বিএনপি ও খালেদা জিয়াকে শেখ হাসিনার সাজানো নির্বাচনী নাটকে অংশগ্রহণ করাতে না পেরে একটার পর একটা মামলা দিয়ে বিচারিক হয়রানি করা হয়। ২০১৮ সালে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজা দিয়ে তাকে জেলে প্রেরণ করা হয়। দেশে-বিদেশে এই রায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। সর্বমোট তার বিরুদ্ধে ৩৬টা মামলা ছিল। ছেলে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ৮২টি মামলা। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ সর্বোচ্চ সাজা নিয়ে লন্ডনে অবস্থান করছেন। ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো বিদেশে চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যান। দেশে লাশ আসে। মায়ের চোখের সামনে ছেলেকে সমাহিত করা হয়। নিজে লিভার সিরোসিসসহ বেশ কয়েকটি কঠিন রোগে আক্রান্ত, মৃত্যুশয্যায়। মেডিকেল টিম বারবার সরকারের কাছে উন্নত চিকিৎসার জন্য সুপারিশ করে। বিদেশে প্রেরণের জন্য পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে অনুনয়-বিনয় করা হয়। কিন্তু তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, বয়োজ্যেষ্ঠ একজন মহিলার জন্য সরকারের একটুও সহানুভূতি হয়নি। বরং মহামারি করোনার সময় শর্ত সাপেক্ষে (বিদেশে যেতে পারবেন না এবং রাজনৈতিক কোনো বক্তব্য দিতে পারবেন না) গুলশানের বাসায় থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। শুধু তা-ই নয়, খালেদা জিয়াকে নিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যঙ্গ-বিদ্রƒপ, কুরুচিপূর্ণ, নিচুমানের কথাবার্তা জাতিকে হতাশ করেছে। একজন প্রধানমন্ত্রী এবং নিজেও নারী হয়ে আরেকজন নারীর প্রতি এ ধরনের অপমানজনক কথাবার্তা শুনে সবাই অবাক হয়েছে। কিন্তু খালেদা জিয়া ছিলেন নীরব, নিশ্চুপ। দলকে নির্দেশ দিয়েছেন, ‘আমার কথা চিন্তা করার দরকার নেই। আল্লাহর ওপর ভরসা, যা হবার তাই হবে। জনগণের অধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম চালিয়ে যাও।’ রাখে আল্লাহ মারে কে? সরকার চেয়েছিল বিদেশের উন্নত চিকিৎসা ছাড়া ধুঁকে ধুঁকে খালেদার মৃত্যু হবে। কিন্তু ৫ আগস্টের পর দৃশ্যপট পুরো উল্টো হয়ে গেল।
প্রায় ৮০ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া অবশেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ৭ জানুয়ারি মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে লন্ডন যাত্রা করেন। মানুষের ভালোবাসার নেত্রীকে একনজর দেখা বা বিদায় জানাতে রাস্তার দুই পাশে লাখো জনতার ঢল বাংলাদেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন। খালেদা জিয়ার প্রতি সম্মান ও ভালোবাসার নিদর্শনস্বরূপ দেওয়া কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদের রাজকীয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্স বিমান পাঠানো হয়। মেডিকেল টিমের ছয় সদস্যসহ ১৬ জন সহযাত্রী নিয়ে ৭ জানুয়ারি রাত ১১টা ৪৬ মিনিটে যাত্রা শুরু করেন। লন্ডন হিথ্রো বিমানবন্দরে ছেলে তারেক রহমান ও স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানসহ অসংখ্য নেতাকর্মী তাকে স্বাগত জানান। সেখানেও তিনি ভিআইপি মর্যাদা পান। দীর্ঘ সাত বছর পর অনেক চড়াই-উতরাই শেষে মা-ছেলের সাক্ষাৎ সেখানে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। শারীরিক অসুস্থতার কারণে সেখান থেকে সরসরি লন্ডন ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ক্লিনিক টি লন্ডনের শত বছরের পুরোনো বিখ্যাত হাসপাতাল। সেখানে সর্বাধুনিক পদ্ধতির চিকিৎসাব্যবস্থা রয়েছে। এখানে রাজা চার্লস, রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ও তার স্বামী ফিলিপ, আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডিসহ পৃথিবীর হাই প্রোফাইল ব্যক্তিদের এই হাসপাতালে চিকিৎসা হয়েছে। মেডিকেল টিমের ব্রিফিংয়ে জানা যায়, বেগম জিয়া বেশ সুস্থ আছেন। বিভিন্ন চেকআপ হচ্ছে এবং মেডিকেল টিমের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, দেশের মানুষের দোয়া ও ভালোবাসায় সিক্ত আপসহীন নেত্রী সুস্থ হয়ে দেশে ফিরবেন এবং জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে সবার গ্রহণযোগ্য অভিভাবকের ভূমিকা পালন করবেন।
-কলামিস্ট, রাজনীতিক