Thikana News
০৩ নভেম্বর ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫





 

গৃহযুদ্ধ থামার লক্ষণ নেই সুদানে, মানবিক বিপর্যয়ে লাখো মানুষ

গৃহযুদ্ধ থামার লক্ষণ নেই সুদানে, মানবিক বিপর্যয়ে লাখো মানুষ সুদান আর্মড ফোর্স ও র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের সদস্যরা ডালডাকো এলাকা দখলের পর উল্লাস প্রকাশ করছে। ছবি : এএফপি





 
আফ্রিকার যুদ্ধপীড়িত দেশ সুদানের পশ্চিমাঞ্চলে লাখ লাখ মানুষ মানবিক সাহায্যপণ্যের তীব্র সঙ্কটের মধ্যে তাদের দিন পার করছে। উত্তর দারফুরের এল-ফাশেরে সংঘাত ও হত্যাযজ্ঞ চলছেই এবং সামরিক জেনারেলদের মধ্যে গৃহযুদ্ধ থামানোর কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। খবর আলজাজিরার।

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা রোববার যুদ্ধরত সুদানিজ আর্মড ফোর্সেস (এসএএফ) ও প্যারামিলিটারি র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের (আএসএফ) প্রতি সাহায্যপণ্য সরবরাহের পথ খুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। তবে এই দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে মধ্যস্থতাকারীদের সব উদ্যোগই ব্যর্থ হয়েছে।

আরএসএফ উত্তর দারফুরের রাজধানী এল-ফাশের দখল করার এক সপ্তাহ পরেও পরিস্থিতি এখনো ভয়াবহ। গত ১৮ মাস ধরে এলাকাটি কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়া এই এলাকাটিতে অনাহারে দিন পার করছে সাধারণ মানুষ। ইতোমধ্যে হেঁটে শহরটি ছাড়তে শুরু করেছে বহু মানুষ। হেঁটে তারা ৫০ কিলোমিটার দূরের তাওয়াইলা শহরে যাচ্ছে। গত কয়েকদিনে এখানে এসেছে কয়েকশ বাস্তুচ্যুত মানুষ।

দাতব্য সংস্থা সলিডারিটেস ইন্টারন্যাশনালের সুদান কান্ট্রি ডিরেক্টর ক্যারোলিন বোভার্ড বলেন, এল-ফাশেরে আটকে পড়া মানুষের সংখ্যার তুলনায় এই সংখ্যাগুলি খুবই কম। আমরা ক্রমাগত খবর পাচ্ছি, নিরাপত্তার কারণে এখনো দুর্গম রাস্তা এবং বিভিন্ন গ্রামে লোকেরা আটকে আছে।

বোভার্ড জানান, এল-ফাশের শহরটি আরএসএফ দখল করে নেওয়ার পর থেকে তথ্য প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ব্ল্যাকআউট চলছে। সাহায্য সংস্থা ও আশপাশের এলাকা থেকে যে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, তাতে ধারণা করা হচ্ছে ১৫ হাজারেরও বেশি লোক এখন আটকে পড়েছে।

এদিকে, এল-ফাশের থেকে আরএসএফের চেকপয়েন্ট পেরিয়ে যে কিছু সংখ্যক মানুষ তাওয়াইলাতে পৌঁছেছে তারা সেখানে গণফাঁসি, মারধর এবং যৌন সহিংসতার বিভৎস্য বর্ণনা দিয়েছে। সেখানে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনাও ঘটছে।

আলজাজিরার প্রতিবেদক হিবা মরগ্যান জানিয়েছেন, মানুষের খাবার, পরিষ্কার পানি, ওষুধ এবং আশ্রয়ের প্রয়োজন, কারণ অনেকেই খোলা আকাশের নিচে ঘুমাচ্ছে। আরএসএফ যোদ্ধাদের গণহত্যার হাত থেকে বাঁচতে আগামী দিনগুলিতে আরও হাজার হাজার মানুষ এই শিবির এবং অন্যান্য পার্শ্ববর্তী এলাকায় আসতে পারে বলে মনে করেন তিনি।  

এদিকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিশর এই গণহত্যার নিন্দা জানিয়েছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে মানবিক সহায়তা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে।

ঠিকানা/এএস 

কমেন্ট বক্স